কক্সবাজারে বেকারদের জন্য চাকরির মেলা

কক্সবাজারে বেকারদের জন্য চাকরির মেলা

কক্সবাজারে চাকরি ও হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ মার্চ) কক্সবাজারে কানাডার অর্থায়নে পরিচালিত কমিউনিটি কোহেসন প্রজেক্টের (সিসিপি) অধীনে উখিয়া ও টেকনাফের বেকারদের জন্য এ চাকরির মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ইউএনডিপির অংশীদার উত্তরণ।

সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয়ে সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা মোট ৯৯ প্রশিক্ষণার্থী একটি ওয়াকিং ইন্টারভিউতে অংশ নিয়েছে। তাদের ৩১ জনকে হোটেল ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার ও অন্যান্য টেকনিক্যাল কাজের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রদর্শনীতে হস্তশিল্প ও খাদ্য প্রস্তুতকারকরা বাঁশের কারুকাজ, তাঁত কাপড়, খাবারসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী প্রদর্শন ও বিক্রয় করে।

ইউএনডিপির কক্সবাজারের অন্যতম প্রজেক্ট ম্যানেজার  মাসুদ করিম বলেন, বিশেষ এলাকায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অনুষ্ঠান আয়োজনের কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। রোহিঙ্গাদের আগমনের পর থেকে এসব এলাকা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এখানকার জীববৈচিত্র্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে যা সহজে মেটানো সম্ভব নয়। এখানকার মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনে পিছিয়ে পড়ছে, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছে। সর্বোপরি এখানকার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে পিছিয়ে পড়ছে। তাই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে, প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীরা চাকরির বাজারে সম্পৃক্ত হয়ে উদ্যোক্তা হবেন; তারা এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

উত্তরণের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সাহারিয়া পারভীন বলেন, এ আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় বেকারদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং উদ্যোক্তা তৈরি করে চাকরির বাজারে সম্পৃক্ত করা। এসব তরুণদের কর্মক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করা গেলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে।

তাছাড়া এই এলাকায় অনেক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বসবাস। তাদের জন্যও এ প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এমনকি তাদের এলাকায় আলাদা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়েছে যাতে তারা সহজে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। বর্তমানে ১১৫ নারী তাদের চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, যখন এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ক্রমশ প্রান্তিক হয়ে উঠছে, তখন এ ধরনের দক্ষতা প্রশিক্ষণ তাদের বেঁচে থাকা ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে পরবর্তী প্রজন্ম তাদের সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।

ইউএনডিপির সহায়তায় উত্তরণ ২ হাজার ১০০ শিক্ষার্থীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের ৬০ শতাংশই নারী। তারা এখন ইউএনডিপি এবং উত্তরণের সহযোগিতায় ও তাদের প্রচেষ্টায় সফল উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপির হেড অব সাব-অফিস মীর আসগর আলী, চেম্বার অব কমার্স উইমেনের ভাইস প্রসিডেন্ট মনোয়ারা পারভীন, হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কক্সবাজারের সেক্রেটারি সেলিম নেওয়াজ প্রমুখ।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন